Prompt লেখার নিয়ম ও ক্যামেরা অ্যাঙ্গেলের নাম ও ব্যবহার । Basic Camera Shots ।। Mastering Camera Angles in Product Photography


Prompt লেখার নিয়ম (রৈখিক গাইডলাইন):

==================
Location (লোকেশন):
Character (চরিত্র):
Action (অ্যাকশন):
Lighting & Mood (আলো ও আবহ):
Spoken Dialogue (ডায়লগ):
Style (স্টাইল):
Camera Angle (ক্যামেরা কোণ):
Background Sound (পেছনের শব্দ):
==================
Location (লোকেশন):
ভিডিওর দৃশ্য কোথায় হবে, চারপাশে কী থাকবে তা লিখতে হবে।
যেমন: মরুভূমি, পাহাড়, নদীর ধারে, গ্রাম ইত্যাদি।

Character (চরিত্র):
কাকে দেখা যাবে, তার বয়স, পোশাক, চেহারার বর্ণনা।
যেমন: একজন বাংলাদেশি যুবক, বয়স ২৫, ঐতিহ্যবাহী পোশাক।

Action (অ্যাকশন):
চরিত্রটি কী করছে, কীভাবে চলছে বা ইশারা করছে।
যেমন: ধীরে হাঁটছে, চারপাশে তাকাচ্ছে, হাত দিয়ে ইশারা করছে।

Lighting & Mood (আলো ও আবহ):
কোন সময়ের দৃশ্য, আলোর পরিবেশ কেমন হবে।
যেমন: সকালের নরম আলো, বিকেলের সূর্যাস্ত, রাতের চাঁদের আলো।

Spoken Dialogue (ডায়লগ):
চরিত্র যা বলবে, সেটি বাংলায় বা ইংরেজিতে লিখতে হবে।
যেমন: “এখন আমরা আছি বদরের প্রান্তরে...”

Style (স্টাইল):
ভিডিওর ভিজ্যুয়াল ধরন।
যেমন: Realistic cinematic style, documentary style, artistic style।

Camera Angle (ক্যামেরা কোণ):
কোন দিক থেকে ক্যামেরা হবে।
যেমন: Selfie camera angle, drone shot, eye-level, close-up।

Background Sound (পেছনের শব্দ):
পরিবেশের শব্দ বা মিউজিক কেমন হবে।
যেমন: বাতাসের শব্দ, নদীর পানি, পাখির ডাক।


 Shot Sizes

1. Extreme Long Shot (এক্সট্রিম লং শট)
ব্যবহার: এই শটটি মূলত একটি দৃশ্যের পটভূমি বা পরিবেশ বোঝানোর জন্য ব্যবহৃত হয়। বিষয়বস্তু বা চরিত্রকে খুব দূর থেকে দেখানো হয়, যা পারিপার্শ্বিক অবস্থা সম্পর্কে দর্শককে ধারণা দেয়। সাধারণত কোনো নতুন স্থান দেখানোর জন্য বা বিশালতা বোঝানোর জন্য এই শট ব্যবহার করা হয়।

2. Long Shot (লং শট)
ব্যবহার: এই শটে চরিত্রকে পুরো শরীরে দেখানো হয়, তবে তার আশেপাশের পরিবেশও অনেকটা দৃশ্যমান থাকে। চরিত্রের শারীরিক ভাষা এবং তার পারিপার্শ্বিক অবস্থার মধ্যে একটি সম্পর্ক স্থাপন করতে এই শট কার্যকর।

3. Medium Long Shot (মিডিয়াম লং শট)
ব্যবহার: এই শটে চরিত্রকে সাধারণত হাঁটু বা কোমর থেকে মাথা পর্যন্ত দেখানো হয়। এটি "কাউবয় শট" নামেও পরিচিত, কারণ ওয়েস্টার্ন মুভিতে বন্দুক দেখানোর জন্য এটি প্রায়ই ব্যবহৃত হতো। এই শটটি চরিত্রের শারীরিক ভাষা এবং মুখের অভিব্যক্তি দুটোই ভালোভাবে ফুটিয়ে তোলে।

4. Medium Shot (মিডিয়াম শট)
ব্যবহার: এই শটটি চরিত্রের কোমর থেকে উপরের অংশ দেখায়। এটি দর্শকদের চরিত্রের কাছাকাছি নিয়ে আসে এবং তাদের মুখের অভিব্যক্তি ও শরীরের উপরের অংশের নড়াচড়া স্পষ্টভাবে দেখায়। সাক্ষাৎকার বা সংഭാഷണমূলক দৃশ্যে এর ব্যবহার খুব বেশি।

5. Medium Close Up (মিডিয়াম ক্লোজ আপ)
ব্যবহার: এই শটে সাধারণত বুক বা কাঁধ থেকে মাথা পর্যন্ত দেখানো হয়। এটি চরিত্রের মুখের অভিব্যক্তিকে আরও গুরুত্ব দেয় এবং দর্শকদের সঙ্গে একটি ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি করে। আবেগপূর্ণ মুহূর্ত তুলে ধরার জন্য এটি খুব কার্যকর।

6. Close Up (ক্লোজ আপ)
ব্যবহার: এই শটটি শুধুমাত্র চরিত্রের মুখমণ্ডলকে ফোকাস করে। এর মাধ্যমে চরিত্রের আবেগ, অনুভূতি বা প্রতিক্রিয়া খুব স্পষ্টভাবে বোঝানো যায়। নাটকীয় বা আবেগঘন মুহূর্তে এই শটের ব্যবহার অপরিহার্য।

7. Big Close Up (বিগ ক্লোজ আপ)
ব্যবহার: এই শটটি ক্লোজ আপের চেয়েও বেশি কাছ থেকে নেওয়া হয়, যেখানে সাধারণত শুধুমাত্র চোখ এবং কপালের মতো মুখের কিছু অংশ দেখানো হয়। এটি চরিত্রের তীব্র আবেগ বা মানসিক অবস্থা বোঝাতে ব্যবহৃত হয়।

8. Extreme Close Up (এক্সট্রিম ক্লোজ আপ)
ব্যবহার: এই শটটি কোনো বস্তুর বা চরিত্রের একটি নির্দিষ্ট ক্ষুদ্র অংশকে অত্যন্ত কাছ থেকে দেখানোর জন্য ব্যবহৃত হয়, যেমন—শুধুমাত্র চোখ, ঠোঁট বা কোনো বস্তুর বিবরণ। এটি দৃশ্যের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি করতে বা কোনো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের প্রতি দর্শকের মনোযোগ আকর্ষণ করতে সাহায্য করে।


Shot Angles:

1. Low Angle (লো অ্যাঙ্গেল)
ব্যবহার: এই অ্যাঙ্গেলটি সাবজেক্টকে শক্তিশালী, প্রভাবশালী বা বিশাল দেখানোর জন্য ব্যবহার করা হয়। দর্শককে সাবজেক্টের নিচে রাখা হয়, যেন সাবজেক্টের দিকে উপরের দিকে তাকাচ্ছে।

2. Eye-level (আই-লেভেল)
ব্যবহার: এই অ্যাঙ্গেলটি সবচেয়ে স্বাভাবিক এবং বাস্তবসম্মত। দর্শক সাবজেক্টের সাথে একই উচ্চতায় থাকে, যা এক ধরণের পরিচিতি এবং নিরপেক্ষতা তৈরি করে।

3. High Angle (হাই অ্যাঙ্গেল)
ব্যবহার: এই অ্যাঙ্গেলটি সাবজেক্টকে দুর্বল, ছোট, অরক্ষিত বা অধস্তন দেখানোর জন্য ব্যবহার করা হয়। দর্শক সাবজেক্টের দিকে উপরের দিক থেকে তাকিয়ে থাকে।

4. Worm's eye (ওয়ার্মস আই)
ব্যবহার: এটি লো অ্যাঙ্গেলের একটি চরম রূপ। ক্যামেরা মাটির খুব কাছাকাছি বা সাবজেক্টের খুব নিচে স্থাপন করা হয়, যা সাবজেক্টকে অত্যন্ত বিশাল এবং শক্তিশালী দেখায়।

5. Canted / Dutch Angle (ক্যান্টেড / ডাচ অ্যাঙ্গেল)
ব্যবহার: এই অ্যাঙ্গেলে ক্যামেরা একদিকে কাত করে রাখা হয়, যার ফলে দিগন্ত রেখা তির্যক দেখায়। এটি অস্থিরতা, বিভ্রান্তি, উত্তেজনা বা মানসিক অস্থিরতা বোঝাতে ব্যবহার করা হয়।

6. Bird's eye (বার্ডস আই)
ব্যবহার: এটি হাই অ্যাঙ্গেলের একটি চরম রূপ। ক্যামেরা সরাসরি উপরে থেকে নিচে সাবজেক্টের দিকে তাকিয়ে থাকে, যা সাধারণত পুরো দৃশ্য বা স্থানের একটি ওভারভিউ দেয় এবং সাবজেক্টকে খুবই ছোট বা তুচ্ছ দেখায়।



Camera and Lens Movement :

1. Pan Left (প্যান লেফট)
ব্যবহার: ক্যামেরা তার স্থির অক্ষের উপর বাম দিকে ঘোরানো হয়, যা অনুভূমিকভাবে একটি দৃশ্য স্ক্যান করতে বা বাম দিকে চলমান একটি বিষয়কে অনুসরণ করতে ব্যবহৃত হয়।

2. Pan Right (প্যান রাইট)
ব্যবহার: ক্যামেরা তার স্থির অক্ষের উপর ডান দিকে ঘোরানো হয়, যা অনুভূমিকভাবে একটি দৃশ্য স্ক্যান করতে বা ডান দিকে চলমান একটি বিষয়কে অনুসরণ করতে ব্যবহৃত হয়।

3. Crab Left / Dolly Left (ক্র্যাব লেফট / ডলি লেফট)
ব্যবহার: ক্যামেরা ট্র্যাকে বা চাকার উপর বাম দিকে সরে যায়, ক্যামেরা তার অক্ষের চারপাশে না ঘুরে সাবজেক্টের সমান্তরালে চলতে থাকে।

4. Crab Right / Dolly Right (ক্র্যাব রাইট / ডলি রাইট)
ব্যবহার: ক্যামেরা ট্র্যাকে বা চাকার উপর ডান দিকে সরে যায়, ক্যামেরা তার অক্ষের চারপাশে না ঘুরে সাবজেক্টের সমান্তরালে চলতে থাকে।

5. Track Out / Dolly Out (ট্র্যাক আউট / ডলি আউট)
ব্যবহার: ক্যামেরা সাবজেক্ট থেকে পিছনের দিকে সরে যায়, দৃশ্যপটের একটি বৃহত্তর অংশ প্রকাশ করে এবং সাবজেক্টকে ফ্রেমে ছোট করে তোলে।

6. Track In / Dolly In (ট্র্যাক ইন / ডলি ইন)
ব্যবহার: ক্যামেরা সাবজেক্টের দিকে সামনের দিকে সরে যায়, সাবজেক্টের উপর ফোকাস বাড়ায় এবং দৃশ্যপটের অন্যান্য উপাদান কমিয়ে দেয়।

7. Zoom Out [lens] (জুম আউট [লেন্স])
ব্যবহার: লেন্সের ফোকাল লেন্থ কমানো হয়, যার ফলে একটি বিস্তৃত দৃশ্য ফ্রেমের মধ্যে আসে এবং সাবজেক্ট ছোট দেখায়। এতে ক্যামেরার অবস্থান পরিবর্তন হয় না।

8. Zoom In [lens] (জুম ইন [লেন্স])
ব্যবহার: লেন্সের ফোকাল লেন্থ বাড়ানো হয়, যার ফলে সাবজেক্ট ফ্রেমের মধ্যে বড় দেখায় এবং কাছাকাছি মনে হয়। এতে ক্যামেরার অবস্থান পরিবর্তন হয় না।

9. Ped Up / Pedestal Up (পেড আপ / পেডেস্টাল আপ)
ব্যবহার: ক্যামেরা তার স্ট্যান্ডের উপর উপরের দিকে চলে যায়, ক্যামেরার উচ্চতা বাড়ে কিন্তু টিল্ট অ্যাঙ্গেল পরিবর্তন হয় না।

10. Ped Down / Pedestal Down (পেড ডাউন / পেডেস্টাল ডাউন)
ব্যবহার: ক্যামেরা তার স্ট্যান্ডের উপর নিচের দিকে চলে আসে, ক্যামেরার উচ্চতা কমে কিন্তু টিল্ট অ্যাঙ্গেল পরিবর্তন হয় না।

11. Tilt Up (টিল্ট আপ)
ব্যবহার: ক্যামেরা তার স্থির অক্ষের উপর উপরের দিকে ঝোঁকানো হয়, যা সাবজেক্টের উপরের অংশ প্রকাশ করতে বা উপরের দিকে চলমান একটি বিষয়কে অনুসরণ করতে ব্যবহৃত হয়।

12. Tilt Down (টিল্ট ডাউন)
ব্যবহার: ক্যামেরা তার স্থির অক্ষের উপর নিচের দিকে ঝোঁকানো হয়, যা সাবজেক্টের নিচের অংশ প্রকাশ করতে বা নিচের দিকে চলমান একটি বিষয়কে অনুসরণ করতে ব্যবহৃত হয়।




ছবিটিতে দেখানো ক্যামেরা অ্যাঙ্গেলগুলির নাম এবং তাদের ব্যবহার নিচে উল্লেখ করা হলো, বিশেষ করে প্রোডাক্ট ফটোগ্রাফির প্রসঙ্গে:

Mastering Camera Angles in Product Photography
এটি একটি ঘড়ির কাঁটার মতো মডেল ব্যবহার করে বিভিন্ন ক্যামেরা অ্যাঙ্গেল দেখাচ্ছে, যেখানে পণ্যটি কেন্দ্রে রয়েছে।

1. TOP DOWN (90°) (টপ ডাউন)
ব্যবহার: ক্যামেরা পণ্যটির ঠিক উপরে 90-ডিগ্রি কোণে স্থাপন করা হয়। এটি পণ্যটির উপরের দিক থেকে একটি পরিষ্কার, সমতল দৃশ্য দেয়, যা প্রায়শই ফ্ল্যাট লে বা পণ্যের সামগ্রিক নকশা প্রদর্শনের জন্য ব্যবহৃত হয়।

2. BIRD'S EYE VIEW (65°) (বার্ডস আই ভিউ)
ব্যবহার: ক্যামেরা উপরের দিক থেকে 65-ডিগ্রি কোণে স্থাপন করা হয়। এটি পণ্যটির উপরের অংশের একটি সুন্দর ওভারভিউ দেয়, যা পণ্যটির নকশা এবং আকৃতি ভালোভাবে তুলে ধরে।

3. HIGH ANGLE SHOT (45°) (হাই অ্যাঙ্গেল শট)
ব্যবহার: ক্যামেরা উপরের দিক থেকে 45-ডিগ্রি কোণে স্থাপন করা হয়। এটি পণ্যটিকে কিছুটা ছোট বা নিরীহ দেখাতে পারে, তবে পণ্যটির উপরের এবং সামনের দিক একসাথে দেখাতে সহায়ক।

4. ABOVE SHOT (30°) (অ্যাবাভ শট)
ব্যবহার: ক্যামেরা পণ্যটির থেকে কিছুটা উপরে 30-ডিগ্রি কোণে স্থাপন করা হয়। এটি পণ্যটির একটি পরিষ্কার এবং সুষম দৃশ্য দেয়, যেখানে পণ্যটির উচ্চতা এবং গভীরতা কিছুটা বোঝা যায়।

5. SLIGHTLY ABOVE (15°) (স্লাইটলি অ্যাবাভ)
ব্যবহার: ক্যামেরা পণ্যটির থেকে সামান্য উপরে 15-ডিগ্রি কোণে স্থাপন করা হয়। এটি একটি প্রায় আই-লেভেল দৃশ্যের মতো, তবে পণ্যটিকে কিছুটা প্রভাবশালী বা সুনির্দিষ্টভাবে দেখায়।

6. STRAIGHT ON (0°) (স্ট্রেট অন)
ব্যবহার: ক্যামেরা পণ্যটির ঠিক সামনে, আই-লেভেলে (0-ডিগ্রি) স্থাপন করা হয়। এটি পণ্যটির একটি সরাসরি এবং নিরপেক্ষ চিত্র দেয়, যা পণ্যটির বৈশিষ্ট্যগুলি পরিষ্কারভাবে তুলে ধরে।

7. HERO VIEW (-15°) (হিরো ভিউ)
ব্যবহার: ক্যামেরা পণ্যটির থেকে সামান্য নিচে -15-ডিগ্রি কোণে স্থাপন করা হয়। এটি পণ্যটিকে একটু মহৎ, গুরুত্বপূর্ণ বা "হিরো"র মতো দেখায়, যা পণ্যের প্রতি আগ্রহ তৈরি করে।

8. LOW VIEW (-45°) (লো ভিউ)
ব্যবহারঃ ক্যামেরা নিচের দিক থেকে -45-ডিগ্রি কোণে স্থাপন করা হয়। এটি পণ্যটিকে শক্তিশালী, প্রভাবশালী বা বিশাল দেখায়, যা পণ্যটির গুরুত্ব তুলে ধরে।

9. WORM'S EYE VIEW (-75°) (ওয়ার্মস আই ভিউ)
ব্যবহার: ক্যামেরা একদম নিচের দিক থেকে -75-ডিগ্রি কোণে স্থাপন করা হয়, যেন মাটি থেকে পণ্যটিকে দেখা হচ্ছে। এটি পণ্যটিকে অত্যন্ত বিশাল, ক্ষমতাশালী এবং প্রভাবশালী দেখায়, যা একটি নাটকীয় প্রভাব সৃষ্টি করে।

শুভেচ্ছান্তে
ফ্রিলান্সার নয়ন

Post a Comment

Post a Comment (0)

Previous Post Next Post