পেপসি, কোক, 7 আপ, টাইগার, স্পিড, পাওয়ার, তথা সকল কোমল পানীয় কেন খাবেন না??
=====================
এক গ্লাস কোক বা পেপসির মধ্যে মানু্ষের একটি
দাঁত ডুবিয়ে রেখে দেখা গিয়েছে যে, ৭
থেকে ১৪ দিনের মধ্যে দাঁতটি পানীয়ের মধ্যে
সম্পূর্ণ গলে মিশে গিয়েছে।
কোকের মধ্যে কীটনাশক মিশানো হয় এই
কারণে যাতে, দীর্ঘ দিন বোতলে থাকলেও
পানিতে কোন ব্যাকটেরিয়া, ফাঙ্গাস, কীট বা
পোকা না জন্মাতে পারে। তাছাড়া পানিতে থাকা জু-
প্লাঙ্কটন ও ফাইটা প্লাঙ্কটন বংশ বিস্তার করতে না
পারে।
কোক বা ঐ জাতীয় পানীয় খেলে কি হয়?
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
- নাড়ীর ভিতরের শ্লেষ্মা ঝিল্লী বা মিউকাস
মেমব্রেণ পচে যায় বা নষ্ট হয়ে যায়;
- নাড়ীর সংকোচণ, সম্প্রসারণ ক্ষমতা কমে যায় এবং
খাদ্য থেকে পুষ্টি শুষে নেয়ার ক্ষমতা কমে যায়;
- হজম ক্ষমতা কমে যায়, বদ হজম, ফুড পয়জনিং,
গ্যাস্ট্রিক, ক্ষুদামান্দ্য, ইত্যাদি অসুখ হয়;
- স্থায়ী কোষ্ঠ কাঠিন্য হয়;
- অনেকের শরীরের ওজন বেড়ে ওবেসিটি
হয়ে যায
- শরীরে চর্বির/কোলেস্টরেল এর পরিমাণ
বেড়ে যায;
- শরীরের ক্যালসিয়াম মলিকুল গঠন প্রক্রিয়া দুর্বল
হয়ে পড়ে, হাড় দুর্বল ও নরম হয়ে যায়:
- নারীদের প্রজনন প্রক্রিয়ায় নতুন শিশুর হাড়
গঠনে ক্যালসিয়ামের অভাব হয়, নতুন শিশু
প্রয়োজনীয় ক্যালসিয়াম পায় না
কেউ যদি চোখের সামনে পেট্রোল বা
ডিজেলের সাথে চিনি মিশিয়ে দিয়ে আপনাকে
বলে এটা অনেক সুস্বাদু, তাহলে আপনি কি সেটা পান
করবেন? কখনই না,
কারণ সেটা তো কেমিকেল! তাহলে আপনি
কোকা-কোলা খাচ্ছেন কেন? সেটাও তো
কেমিকেল ! যারা জানেন বা না জানেন যে কোকা-
কোলা শরীরের জন্য ক্ষতিকর তারা আরও নতুন
কিছু জেনে নিন এই পানীয়টি সম্পর্কে। বিশ্বখ্যাত
এই পানীয়টি মানব দেহের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর ।
এর এসিডিটির মাত্রা মোটামুটি গাড়ির ব্যাটারির কাছাকাছি। এটি
হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোকের সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয়,
শরীরের হাড় নরম করে দেয়, পাকস্থলীর টিস্যু
হজম করে ফেলে আর সেই সাথে বাড়িয়ে
দেয় ক্যান্সারের ঝুকি।
একে ব্যবহার করা যায় এমন সব অদ্ভুত কাজে যা
জানতে পারলে যত কোকা-কোলা খেয়েছেন
সব উগড়ে দিতে ইচ্ছে হবে আপনার!
দেখুন কি কাজ করা যায় কোকা-কোলা দিয়ে
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
১. কাপড় থেকে তেলের দাগ উঠিয়ে ফেলে
২. মরিচা দূর করতে পারে, মরচে পড়ে শক্ত
হয়ে এঁটে থাকা নাট-বল্টু ঢিলা করে দেয়
৩. কাপড় থেকে রক্তের দাগ উঠিয়ে ফেলতে
পারে
৪. মেঝে থেকে তেলের দাগ উঠিয়ে
ফেলতে পারে
৫. এর ভেতর থাকা এসিড মেরে ফেলতে পারে
বাগানের শামুক জাতীয় প্রাণী
৬. পুড়ে যাওয়া হাঁড়ি-পাতিল থেকে পোড়া দাগ উঠিয়ে
ফেলতে পারে
৭. চায়ের কেটলি থেকে পুরনো দাগ
তুলে ফেলতে পারে
৮. গাড়ির ব্যাটারির টার্মিনালে পড়া শক্ত
ময়লা তুলে ফেলতে পারে
৯. গাড়ির ইঞ্জিন পরিষ্কার করে
১০. পুরনো কয়েন চকচকে করে ফেলে
১১. টাইলসের মাঝে পড়ে যাওয়া ময়লা উঠিয়ে
ফেলে
১২. ৭-১৪ দিন সময় পেলে কোকা- কোলা মানুষের
দাঁত গলিয়ে ফেলতে পারে
১৩. চুল থেকে চুইং গাম তুলে ফেলতে পারে
১৪. চিনামাটির বাসনপত্র থেকে দাগ তুলে ফেলতে
পারে
১৫. ময়লা সুইমিং পুলের পানিতে কয়েক লিটার কোকা-
কোলা ঢেলে দিলে পানিতে পরে থাকা লালচে
স্তর দূর হয়ে যাবে
১৬. ডায়েট কোলা ব্যবহার করে চুলের ডাই তুলে
ফেলা যায় অথবা হালকা করে ফেলা যায়
১৭. কার্পেট থেকে মার্কারের দাগ
উঠিয়ে ফেলতে পারে।
১৮. হারপিকের চেয়ে কমোড বেশী উজ্জ্বল
ও পরিস্কার করতে পারে
১৯. কোক আর অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল ব্যবহার করে
ক্রোমিয়ামের জিনিসপত্র উজ্জ্বল করে ফেলা যায়
২০. ধাতব আসবাবপত্র থেকে রঙ
উঠিয়ে ফেলতে পারে
২১. এক গ্লাস কোকে প্লাস্টিক চামচ ১৭
ঘন্টা রেখে দিলে দেখবেন চামচগুলো প্রায়
গলে গেছে।
–তাহলে চিন্তা করুন, কোকা-কোলা ব্যবহার করা
যেতে পারে কাপড়
পরিষ্কার করার ডিটারজেন্টের
মতো,
মরচে তোলার তার্পিনের
মতো,
ডিশওয়াশিং লিকুইডের
মতো এমনকি বাথরুম পরিষ্কারের
হারপিকের মতো!
তো এসব রাসায়নিকের
কাজ যে পানীয় করতে পারে
তা খাওয়া কি শরীরের জন্য ভালো?
কোকা- কোলা খাওয়ার আগে তাই আরেকবার
ভাবুন।
সেভেন আপ, পেপসি, কোকোকোলা এগুলো খাওয়া যেতে পারে কারণ এতে এলকোহল আছে বলে
পরিক্ষিত কোন রিপোর্ট এখনো পাওয়া জায়নি তবে স্পিড, টাইগার, ব্ল্যাকহর্স
এগুলো খাওয়া হারাম কারণ এগুলতে অ্যালকোহল রয়েছে এবং সেটার নির্ভরযোগ্য
জনস্বাস্থ্য ইন্সটিটিউট এর পরিক্ষায় প্রমানিত
এবার ইসলামি শরীয়ত দেখুন......
প্রশ্ন > কোমল পানীয় খাওয়া কি জায়েজ ?
===========================
উত্তর :
যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহর। দরুদ ও সালাম আল্লাহর
রাসূল (সা) এর উপর। পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু
আল্লাহর নামে শুরু করছি।
:
যেকোন পানীয় খাওয়া জায়েজ ততক্ষণ পর্যন্ত
যতক্ষণ হারাম কোন উপাদান তাতে না পাওয়া যায় ।
কোন খাদ্য ও পানীয়তে কম-বেশী যাই থাক না কেন,
অ্যালকোহল অর্থাৎ নেশাদার দ্রব্য মিশ্রিত থাকলে
তা গ্রহণ করা সম্পূর্ণ হারাম।
রাসূলুল্লাহ (সা) বলেন, ‘মাদকতা আনয়নকারী
প্রত্যেক বস্ত্তই মদ এবং প্রতিটি মাদকদ্রব্য
হারাম’(মুসলিম, মিশকাত হা/৩৬৩৮)।
:
অন্য হাদীছে এসেছে, ‘যার বেশী পরিমাণে মাদকতা
আসে, তার কম পরিমাণও হারাম’ (তিরমিযী, ইবনু
মাজাহ, মিশকাত হা/৩৬৪৫, সনদ ছহীহ)।
:
বিভিন্ন সংবাদসূত্রে প্রকাশ, সকল প্রকার এনার্জি
ড্রিংক্সসহ অধিকাংশ কোমল পানীয়তে
এ্যালকোহল মিশ্রিত থাকে। সম্প্রতি ফ্রান্সের
একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান প্রকাশ করেছে যে,
জনপ্রিয় দু’টি কোমল পানীয় কোকাকোলা ও
পেপসিতে প্রতি লিটারে অন্ততঃ ১০ মিলিগ্রাম
এ্যালকোহল রয়েছে ।
:
এছাড়া কোমল পানীয়ের মূল উপাদানে শুকরের
চর্বির মিশ্রণ থাকতে পারে বলে কেউ কেউ ধারণা
করেন ।
এতে শরীরের জন্য ক্ষতিকর নানা উপাদানও
বিদ্যমান। যেমন কোকো, ক্যাফেইন, , কার্বন ডাই-
অক্সাইড, উচ্চমাত্রার এসিড প্রভৃতি, যা মানুষের
কিডনী, দাঁত, হাড়সহ স্বাস্থ্যের জন্য খুব ক্ষতিকর।
প্রচলিত আরেকটি বিশ্বাস হল কোমল পানীয় হজমে
সাহায্য করে। আমরা অনেকেই রিচফুড খাওয়ার পর
সফট ড্রিংকস খেতে চাই এ ধারণায় যে, এতে খাবার
দ্রুত হজম হবে। এসিডিক হওয়ার কারণে সফট ড্রিংকস
পাকস্থলীর সংবেদনশীল এলক্যালাইন ভারসাম্য নষ্ট
করে ফেলে। ফলে পেটে ব্যথা, ফুলে যাওয়া, বদহজম,
গ্যাস, টক ঢেঁকুর ইত্যাদি নানা ধরনের সমস্যার সৃষ্টি
হয়।
এজন্য বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে এ সকল কোমল পানীয়
নামক সোডা ওয়াটার নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
সুতরাং তৈরীর মূল উপাদানসমূহ সম্পর্কে নিশ্চিত না
হয়ে এ সকল পানীয় পান করা যাবে না।
সর্বোপরি সন্দেহজনক বস্ত্তু থেকে দূরে থাকা
আবশ্যক।
রাসূলুল্লাহ (সা) বলেন, হালাল স্পষ্ট, হারাম স্পষ্ট।
এর মাঝে একটি সন্দেহযুক্ত জিনিস রয়েছে যা
হারাম । (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/২৭৬২)।
:
তাই খাবার আগে নিশ্চিত হয়ে নিন কি খাচ্ছেন??
লেখা কালেক্টেড
nice nice nice nice nice nice nice nice nice nice nice nice nice nice nice nice nice nice nice nice nice nice nice nice nice nice nice nice nice nice nice nice nice nice nice nice nice nice nice nice nice nice nice nice nice nice nice nice nice nice nice nice nice nice nice nice nice nice nice nice nice nice nice nice nice
ردحذفإرسال تعليق