যাকাত ও ফেতরার সঠিক নিয়ন জেনে রাখুন



যাকাত ও ফেতরার সঠিক নিয়ন জেনে নিই।


========================================================================
***মহান আল্লাহ তালা বলেন***
وَمَا أُمِرُوا إِلاَّ لِيَعْبُدُوا اللَّهَ مُخْلِصِينَ لَهُ الدِّينَ حُنَفَاء وَيُقِيمُوا الصَّلَاةَ وَيُؤْتُوا الزَّكَاةَ وَذَلِكَ دِينُ الْقَيِّمَةِ
অর্থ: ‘আর তাদেরকে কেবল এই নির্দেশ দেয়া হয়েছিল যে, তারা যেন আল্লাহর, ইবাদাত করে তাঁরই জন্য দীনকে একনিষ্ঠ করে, সালাত কায়েম করে এবং যাকাত দেয়; আর এটিই হল সঠিক দীন।’
(সূরা আল বাইয়িনাহ, আয়াত: ৫) 


ঈমানের পর সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ ও অপরিহার্য ইবাদত হল সালাত ও যাকাত। কুরআন মজীদে বহু স্থানে সালাত-যাকাতের আদেশ করা হয়েছে এবং আল্লাহর অনুগত বান্দাদের জন্য অশেষ ছওয়াব, রহমত ও মাগফিরাতের পাশাপাশি আত্মশুদ্ধিরও প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। এক আয়াতে ইরশাদ হয়েছে-
وَ اَقِیْمُوا الصَّلٰوةَ وَ اٰتُوا الزَّكٰوةَ ؕ وَ مَا تُقَدِّمُوْا لِاَنْفُسِكُمْ مِّنْ خَیْرٍ تَجِدُوْهُ عِنْدَ اللّٰهِ ؕ اِنَّ اللّٰهَ بِمَا تَعْمَلُوْنَ بَصِیْرٌ۝۱۱۰
 তোমরা সালাত আদায় কর এবং যাকাত প্রদান কর। তোমরা যে উত্তম কাজ নিজেদের জন্য অগ্রে প্রেরণ করবে তা আল্লাহর নিকটে পাবে। নিশ্চয়ই তোমরা যা কর আল্লাহ তা দেখছেন। -সূরা বাকারা : ১১০
অন্য আয়াতে ইরশাদ হয়েছে-
وَ اَقِیْمُوا الصَّلٰوةَ وَ اٰتُوا الزَّكٰوةَ وَ اَطِیْعُوا الرَّسُوْلَ لَعَلَّكُمْ تُرْحَمُوْنَ۝۵۶
তোমরা সালাত আদায় কর, যাকাত দাও এবং রাসূলের আনুগত্য কর যাতে তোমরা অনুগ্রহভাজন হতে পার।-সূরা নূর : ৫৬
সূরা নিসার ১৬২ নং আয়াতে আল্লাহ তাআলা তার বান্দাদের জন্য আজরুন আযীম-এর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। ইরশাদ হয়েছে-
وَ الْمُقِیْمِیْنَ الصَّلٰوةَ وَ الْمُؤْتُوْنَ الزَّكٰوةَ وَ الْمُؤْمِنُوْنَ بِاللّٰهِ وَ الْیَوْمِ الْاٰخِرِ ؕ اُولٰٓىِٕكَ سَنُؤْتِیْهِمْ اَجْرًا عَظِیْمًا۠۝۱۶۲
এবং যারা সালাত আদায় করে, যাকাত দেয় এবং আল্লাহ ও পরকালে ঈমান রাখে আমি তাদেরকে মহাপুরস্কার দিব।’ (সূরা নিসার ১৬২)
অন্য আয়াতে যাকাতের গুরুত্বপূর্ণ সুফল বর্ণনা করে আল্লাহ তাআলা বলেন-
خُذْ مِنْ اَمْوَالِهِمْ صَدَقَةً تُطَهِّرُهُمْ وَ تُزَكِّیْهِمْ بِهَا وَصَلِّ عَلَیْهِمْ ؕ اِنَّ صَلٰوتَكَ سَكَنٌ لَّهُمْ ؕ وَ اللّٰهُ سَمِیْعٌ عَلِیْمٌ۝۱۰۳
তাদের সম্পদ থেকে সদকা গ্রহণ করুন, যার দ্বারা আপনি তাদেরকে পবিত্র করবেন এবং পরিশোধিত করবেন এবং আপনি তাদের জন্য দুআ করবেন। আপনার দুআ তো তাদের জন্য চিত্ত স্বস্তিকর। আল্লাহ সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ।-সূরা তাওবা : ১০৩
এছাড়া কুরআন মজীদের বিভিন্ন আয়াত থেকে পরিষ্কার জানা যায় যে, সালাত ও যাকাতের পাবন্দী ছাড়া আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের প্রশ্নই অবান্তর। কুরআন মজীদের বিভিন্ন আয়াতে, যেখানে খাঁটি মুমিনের গুণ ও বৈশিষ্ট্য উল্লেখিত হয়েছে সেখানে সালাত-যাকাতের কথা এসেছে অপরিহার্যভাবে।
কুরআনের দৃষ্টিতে প্রকৃত পুণ্যশীলদের পরিচয় যেখানে দেওয়া হয়েছে সেখানে সালাত-যাকাতের উল্লেখ এসেছে। (সূরা বাকারা ১৭৭)
মুমিনের বন্ধু কারা-এই প্রশ্নের উত্তরেও সালাত-যাকাতের প্রসঙ্গ শামিল রয়েছে। (সূরা মায়েদা : ৫৫)
সৎকর্মপরায়ণদের বৈশিষ্ট্য ও কর্মের তালিকায় সালাত-যাকাতের প্রসঙ্গ অনিবার্য। (সূরা লুকমান : ৪)
মসজিদ আবাদকারীদের পরিচয় জানতে চাইলেও সালাত-যাকাত তাদের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। (সূরা তাওবা : ১৮)
কুরআন মজীদ কাদের জন্য হেদায়েত ও শুভসংবাদ দাতা-এর উত্তর পেতে চাইলেও সালাত-যাকাত অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক। (সূরা নামল : ৩)
ভূপৃষ্ঠে ক্ষমতা ও কর্তৃত্ব লাভের পরও মুমিনদের অবস্থা কী তা জানতে চাইলে সালাত-যাকাতই অগ্রগণ্য। (সূরা হজ্জ্ব : ৪১)
বিধর্মী কখন মুসলিম ভ্রাতৃত্বে শামিল হয়- এ প্রশ্নের উত্তরে তাওবার সঙ্গে সালাত-যাকাতও উল্লেখিত। (সূরা তাওবা : ১১)

দ্বীনের মৌলিক পরিচয় পেতে চাইলে সালাত-যাকাত ছাড়া পরিচয় দান অসম্ভব। (সূরা বাইয়েনা : ৫)

=======================================================================
বিস্তারিত.........

১.যাকাত কাকে বলে ?
  •     যাকাত শব্দের অর্থ পরিচ্ছন্নতা।
এটি আরবী শব্দ زكوة থেকে গেৃহীত। যার অর্থ পবিত্রতা বা পরিশুদ্ধতা। যাকাতের
আরেক অর্থ পরিবর্ধন (Growth)শুধু তাই নয়যাকাত একাধারে পবিত্রতাবর্ধিত
হওয়া,আর্শীবাদ (Blessing) এবং প্রশংসা অর্থেও ব্যবহৃত হয়কুরআন  হাদিসে
যাকাতের এ-সব তাৎপর্য নিহিত।


  •     আভিধানিক অর্থ 

·         যাকাতের আভিধানিক অর্থ অতিরিক্ত। মাওলানা আব্দুর রহীম বলেনযাকাত শব্দের আসল অর্থ হচ্ছে প্রবৃদ্ধি (Growth), 
প্রবৃদ্ধি লাভ (Increa8uuuse), প্রবৃদ্ধির কারণ (To Cause to grow) ইত্যাদি যা আল্লাহ প্রদত্ত বারাকাত (Blessing) থেকে অর্জিত হয়।


  • শরীয়াতের পরিভাষা
শরীয়তের পরিভাষায় যাকাত হলো আল্লাহ পাকের সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যেইসলামী শরীয়াতের পরিভাষায় জীবন যাত্রার অপরিহার্য প্রয়োজন পুরণের পর সম্পদে পূর্ণ এক বছরকাল অতিক্রম করলে ঐ সম্পদ থেকে নির্দিষ্ট অংশ আল্লাহর নির্ধারিত খাতে ব্যয় করাকে যাকাত বলা হয়।
  • কারা দিবেন যাকাত
    যাকাত দেয়ার জন্যে একজন মুসলিমের ‘সাহিবে নিসাব’ হতে হবে অর্থাৎ নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হতে হবে। নিসাব বলতে বোঝায় ন্যূনতম যে পরিমাণ ধন-সম্পদ থাকলে যাকাত আদায় করা ফরজ। ফিকহ অনুসারে নিসাব পরিমাপ করা হয়ে থাকে। ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের হিসাব অনুসারে, এই পরিমাণ হচ্ছে ৭.৫ তোলা স্বর্ণ কিংবা ৫২.৫ তোলা রৌপ্য অথবা সমপরিমাণ অর্থ।
    যে ব্যক্তি এক বছর যাবত নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক থাকেন, তাকে মোট অর্থের শতকরা ২.৫% হারে যাকাত পরিশোধ করতে হবে। অধিক সওয়াবের আশায় বেশিরভাগ মুসলমানই যাকাত দেবার জন্যে পবিত্র রমজান মাসকে বেছে নেন।



**যাকাত কাহার উপর ফরয**

নিম্ন বর্ণিত দশ প্রকার গুণ সম্পন্ন লোকের উপর যাকাত ফরয- 
(১) মুসলমান হওয়া। 
(২) বালেগ হওয়া। 
(৩) জ্ঞানবান হওয়া। 
(৪) স্বাধীন হওয়া। 
(৫) নিছাব পরিমান মালের পূর্ণ মালিক হওয়া। 
(৬) যাকাতের মালের পূর্ণ মালিকানা থাকা। 
(৭) নিছাব কর্যমুক্ত হওয়া। 
(৮) নিছাব পরিমান মাল হাওয়ায়েজে আছলিয়ার অতিরিক্ত হওয়া।
(৯) মাল বর্ধনশীল হওয়া। 
(১০) নিছাবের মালের বৎসর শেষ হওয়া।

আদ্দুররুল মুখতার ২/২৫৯ বাদায়েউস সানায়ে ২/৭৯,৮২

যেসব সম্পত্তিতে যাকাত ওয়াজিব**

প্রথমত. জমিনে উৎপাদিত ফসল, ফল ও বীজের ওপর যাকাতওয়াজিব। 
আল্লাহ তা’আলা ইরশাদ করেন, 
كُلُوا مِنْ ثَمَرِهِ إِذَا أَثْمَرَ وَآَتُوا حَقَّهُ يَوْمَ حَصَادِهِ وَلَا تُسْرِفُوا إِنَّهُ لَا يُحِبُّ الْمُسْرِفِينَ 
‘তোমরা জমিনের ফসল খাও যখন ফসল ফলে, আর ফসল কাটার সময় ফসলের হক্ব আদায় কর। তোমরা অপচয় করো না। নিশ্চয় তিনি অপচয়কারীদের পছন্দ করেন না।’ (সূরা আনাম : ১৪১) 

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন,
বৃষ্টির পানি অথবা সমুদ্রের পানি দ্বারা উৎপাদিত ফসলে দশ ভাগের এক ভাগ আর সেচের মাধ্যমে উৎপাদিত জমিনের ফসলে বিশ ভাগের এক ভাগ যাকাতদিতে হবে।’ তবে হাদিসের ভাষায় ফসলের পরিমাণ পাঁচ ওছাক হতে হবে। 

**দ্বিতীয়ত. গবাদি পশু যেমন- উট, গরু, ছাগল ইত্যাদির ওপর যাকাতওয়াজিব।

আল্লাহ তা‘আলা ইরশাদ করেন,

وَالْأَنْعَامَ خَلَقَهَا لَكُمْ فِيهَا دِفْءٌ وَمَنَافِعُ وَمِنْهَا تَأْكُلُونَ ﴿**﴾ وَلَكُمْ فِيهَا جَمَالٌ حِينَ تُرِيحُونَ وَحِينَ تَسْرَحُونَ  
এবং গৃহপালিত পশু যা তোমাদের জন্য সৃষ্টি করেছেন এর মধ্যে রয়েছে শীত বস্ত্রের উপকরণ এবং মানুষের জন্য উপকার।এদের দ্বারা তোমাদের সম্মান হয় যখন বিকালে চারণভূমি থেকে নিয়ে আস এবং সকালে চারণভূমিতে নিয় যাও’ (সূরা নাহাল : ৫-৬)                      
এসব জীব-জন্তুর যাকাতওয়াজিব হবে যখন মুক্ত বিচরণকারী এবং নিসাব পরিমাণ হয়। এসবের মধ্যে উটের নিসাব হল কমপক্ষে পাঁচটা আর গরু ত্রিশটি এবং ছাগল চল্লিশটি। কিন্তু মুক্ত বিচরণকারী না হলে যাকাতওয়াজিব হবে না। তবে যদি ব্যবসার উদ্দেশ্য থাকে তাহলে অবশ্যই যাকাতআদায় করতে হবে।


 **তৃতীয়. স্বর্ণ, রৌপ্যেও যাকাতওয়াজিব। 



স্বর্ণ ও রৌপ্য যে কোন ধরনের হোক না কেন এর যাকাতওয়াজিব। তবে স্বর্ণের পরিমাণ কমপক্ষে সাড়ে সাত তোলা এবং রৌপ্যের পরিমাণ সাড়ে বায়ান্ন তোলা হতে হবে। 

**চতুর্থ. ব্যবসার মালামালের মধ্যে যাকাতওয়াজিব। 

জমি, গবাদি পশু, খাদ্য-পানীয় ইত্যাদি সবকিছুতেই যাকাতওয়াজিব যদি ব্যবসার উদ্দেশ্য থাকে। সুতরাং মালিককে বছর শেষে হিসাব করে এসবের যাকাতপরিশোধ করতে হবে।


**যাকাতের অর্থ ব্যয়ের খাতসমূহ**

আল্লাহ তা’আলা কুরআন পাকে জাকাতের অর্থ ব্যয়ের খাতসমূহ উল্লেখ করে দিয়েছেন। 


কুরআনে জাকাতের অর্থ ব্যয়ের জন্য ৮টি খাত উল্লিখিত হয়েছে। 


আল্লাহ তা’আলা ইরশাদ করেন, 


إِنَّمَا الصَّدَقَاتُ لِلْفُقَرَاءِ وَالْمَسَاكِينِ وَالْعَامِلِينَ عَلَيْهَا وَالْمُؤَلَّفَةِ قُلُوبُهُمْ وَفِي الرِّقَابِ وَالْغَارِمِينَ وَفِي سَبِيلِ اللَّهِ وَاِبْنِ السَّبِيلِ فَرِيضَةً مِنَ اللَّهِ وَاللَّهُ عَلِيمٌ حَكِيمٌ


1/ফকির


2/মিসকিন


3/জাকাত আদায়ের কাজে নিযুক্ত কর্মকর্তা-কর্মচারী


4/কৃতদাসকে মুক্তকরার জন্য


5/মুআল্লাফাতে কুলুব


6/ঋণগ্রস্ত:


7/আল্লাহর পথের লোক


8/মুসাফিরদের জন্য





**যে খাতে যাকাত প্রদান করা যাবেনা**



অমুসলিম ব্যক্তিকে যাকাত দেয়া যাবে না।



দরিদ্র পিতা-মাতাকে, সন্তানকে, স্বামী বা স্ত্রীকে যাকাত দেয়া যাবে না। 



নিছাব পরিমাণ মালের অধিকারী বা ধনী ব্যক্তিকে যাকাত দেয়া যাবে না। 



বনু হাশিম গোত্রের অন্তর্গত হযরত আব্বাস, হযরত জাফর, হযরত আকীল রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের বংশধরদের জন্য যাকাত গ্রহণ বৈধ নয়।



কীভাবে যাকাত দিতে হবে
কুরআন মজীদে আল্লাহ তাআলা তার অনুগত বান্দাদের বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করে বলেন-
وَ الَّذِیْنَ یُؤْتُوْنَ مَاۤ اٰتَوْا وَّ قُلُوْبُهُمْ وَجِلَةٌ اَنَّهُمْ اِلٰی رَبِّهِمْ رٰجِعُوْنَۙ۝۶۰
আর তারা যা কিছু দান করে এভাবে দান করে যে, তাদের হৃদয় ভীতকম্পিত থাকে (একথা ভেবে) যে, তারা তাদের রবের নিকটে ফিরে যাবে। -সূরা মুমিনূন : ৬০
এক আয়াতে মুমিনদের সম্বোধন করে বলেন-
وَ مَا تُنْفِقُوْا مِنْ خَیْرٍ فَلِاَنْفُسِكُمْ ؕ وَ مَا تُنْفِقُوْنَ اِلَّا ابْتِغَآءَ وَجْهِ اللّٰهِ ؕ وَ مَا تُنْفِقُوْا مِنْ خَیْرٍ یُّوَفَّ اِلَیْكُمْ وَ اَنْتُمْ لَا تُظْلَمُوْنَ۝۲۷۲
এবং তোমরা তো শুধু আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্যই ব্যয় করে থাক। যে ধনসম্পদ তোমরা ব্যয় কর তার পুরস্কার তোমাদেরকে পুরোপুরিভাবে প্রদান করা হবে এবং তোমাদের প্রতি অন্যায় করা হবে না। -সূরা বাকারা : ২৭২
অন্য এক আয়াতে ঈমানদারদের সতর্ক করা হয়েছে তারা যেন অসংযত আচরণের মাধ্যমে তাদের দান-সদকাকে ব্যর্থ না করে দেয়। ইরশাদ হয়েছে-
یٰۤاَیُّهَا الَّذِیْنَ اٰمَنُوْا لَا تُبْطِلُوْا صَدَقٰتِكُمْ بِالْمَنِّ وَ الْاَذٰی ۙ كَالَّذِیْ یُنْفِقُ مَالَهٗ رِئَآءَ النَّاسِ وَ لَا یُؤْمِنُ بِاللّٰهِ وَ الْیَوْمِ الْاٰخِرِ ؕ
হে ঈমানদারগণ, তোমরা অনুগ্রহ ফলিয়ে ও কষ্ট দিয়ে তোমাদের দান-সদকাকে বিনষ্ট করো না। ওই লোকের মতো যে লোক দেখানোর জন্য সম্পদ ব্যয় করে আর ঈমান রাখে না আল্লাহ ও আখিরাত দিবসের উপর।-সূরা বাকারা : ২৬৪
 অন্য আয়াতে ইরশাদ হয়েছে-
واحسنوا ان الله يحب المحسنين
কুরআন মজীদের উপরোক্ত আয়াতসমূহ থেকে প্রমাণিত  হয় যে, বিনয়, খোদাভীতি, ইখলাস ও আখলাকে হাসানা হল দান-সদকা আল্লাহর দরবারে মকবুল হওয়ার অভ্যন্তরীণ শর্ত। এসব বিষয়ে যত্নবান হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সময়মতো যাকাত আদায় করে দেওয়া কর্তব্য। 
বছর অতিক্রান্ত হওয়ার পর যাকাত আদায়ে বিলম্ব করা যায় না। কুরআন মজীদে ইরশাদ হয়েছে-
وَ اَنْفِقُوْا مِنْ مَّا رَزَقْنٰكُمْ مِّنْ قَبْلِ اَنْ یَّاْتِیَ اَحَدَكُمُ الْمَوْتُ فَیَقُوْلَ رَبِّ لَوْ لَاۤ اَخَّرْتَنِیْۤ اِلٰۤی اَجَلٍ قَرِیْبٍ ۙ فَاَصَّدَّقَ وَ اَكُنْ مِّنَ الصّٰلِحِیْنَ۝۱۰
আমি তোমাদেরকে যে রিযক দিয়েছি তোমরা তা থেকে ব্যয় করবে তোমাদের কারো মৃত্যু আসার পূর্বে। অন্যথায় মৃত্যু এল সে বলবে হে আমার প্রতিপালক! আমাকে আরও কিছু কালের অবকাশ কেন দিলে না! তাহলে আমি সদাকা করতাম এবং সৎকর্মপরায়ণদের অন্তর্ভুক্ত হতাম।-সূরা মুনাফিকূন : ১০

**যাকাত না দেওয়ার আযাব**

 মহান আল্লাহ বলেন:

আর যারা সোনা রূপা জমা করে রাখে অথচ তা আল্লাহর পথে ব্যয় করে না। তাদের যন্ত্রণাদায়ক আযাবের সুসংবাদ দিন। যেদিন সেগুলো জাহান্নামের আগুনে উত্তপ্ত করা হবে, অত:পর তা দ্বারা তাদের ললাট, পার্শ্বদেশ এবং তাদের পৃষ্ঠদেশসমূহে দাগ দেয়া হবে। ( এবং বলা হবে) এ হলো যা তোমরা তোমাদের জন্য সঞ্চয় করেছিলে, এখন তার স্বাদ গ্রহণ করো যা তোমরা সঞ্চয় করেছিলে। (সূরা তাওবা:৩৪-৩৫) 

**হাদিশ  থেকে প্রমান***

সহিহ বুখারিতে আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “আল্লাহ যাকে সম্পদ দান করেছেন, অতঃপর সে তার যাকাত প্রদান করল না, কিয়ামতের দিন তার জন্য বিষধর সাপ সৃষ্টি করা হবে, যার দুটি চোঁয়াল থাকবে, যা দ্বারা সে তাকে কিয়ামতের দিন পেঁছিয়ে ধরবে, অতঃপর তার দু’চোয়াল পাকড়ে বলবে: আমি তোমার সম্পদ, আমি তোমার সঞ্চিত ধন”।  {বুখারি: (৮৪০৩)}


নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম  বলেন

যারা যাকাত আদায়ে ব্রতী হয় না তাদের বিরুদ্ধে কঠিন হুশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, "

সোনা-রূপার অধিকারী যেসব লোক এ হাক্ব (যাকাত) আদায় করে না, ক্বিয়ামাতের দিন তার ঐ সোনা-রূপা দিয়ে তার জন্য আগুনের অনেক পাত তৈরী করা হবে, 

অতঃপর তা জাহান্নামের আগুনে গরম করা হবে। অতঃপর তা দিয়ে কপালদেশ ও পার্শ্বদেশ ও পিঠে দাগ দেয়া হবে। যখনই ঠাণ্ডা হয়ে আসবে পুনরায় তা উত্তপ্ত করা হবে। এরূপ করা হবে এমন একদিন যার পরিমাণ হবে পঞ্চাশ হাজার বছরের সমান।

 আর তার এরূপ শাস্তি লোকদের বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত চলতে থাকবে। অতঃপর তাদের কেউ পথ ধরবে জান্নাতের আর জাহান্নামের দিকে। জিজ্ঞেস করা হলো, হে আল্লাহর রসূল! উটের (মালিকের) কী অবস্থা হবে?

তিনি বললেন, যে উটের মালিক তার উটের হাক্ব আদায় করবে না তার উটের হাক্বগুলোর মধ্যে পানি পানের তারিখে তার দুধ দোহন করে অন্যদেরকে দান করাও একটি হাক্ব, যখন ক্বিয়ামাতের দিন আসবে তাকে এক সমতল ময়দানে উপুড় করে ফেলা হবে। 

অতঃপর তার উটগুলো মোটাতাজা হয়ে আসবে। এর বাচ্চাগুলোও এদের অনুসরণ করবে। এগুলো আপন আপন খুর দ্বারা তাকে পায়ে মাড়াতে থাকবে এবং মুখ দ্বারা কামড়াতে থাকবে। এভাবে যখন একটি পশু তাকে অতিক্রম করবে অপরটি অগ্রসর হবে। 

সারাদিন তাকে এরূপ শাস্তি দেয়া হবে। এ দিনের পরিমাণ হবে পঞ্চাশ হাজার বছরের সমান। অতঃপর বান্দাদের বিচার শেষ হবে। তাদের কেউ জান্নাতের দিকে আর কেউ জাহান্নামের দিকে পথ ধরবে। 

অতঃপর জিজ্ঞেস করা হলো- হে আল্লাহর রসূল! গরু-ছাগলের (মালিকদের) কী অবস্থা হবে? উত্তরে তিনি বললেন, যেসব গরু ছাগলের মালিক এর হাক্ব আদায় করবে না ক্বিয়ামাতের দিন তাকে এক সমতল ভূমিতে উপুর করে ফেলে রাখা হবে। 

আর তার সে সব গরু ছাগল তাকে শিং দিয়ে আঘাত করতে থাকবে এবং খুর দিয়ে মাড়াতে থাকবে। সেদিন তার একটি গরু বা ছাগলের শিং বাঁকা বা শিং ভাঙ্গা থাকবে না এবং তাকে মাড়ানোর ব্যাপারে একটিও অনুপস্থিত দেখতে পাবে না। যখন এদের প্রথমটি অতিক্রম করবে দ্বিতীয়টা এর পিছে পিছে এসে যাবে। সারাদিন তাকে এভাবে পিষা হবে।

 এ দিনের পরিমাণ হবে পঞ্চাশ হাজার বছরের সমান। অতঃপর বান্দাদের বিচার শেষ হবে এবং তাদের কেউ জান্নাতের দিকে আর কেউ জাহান্নামের দিকে পথ ধরবে।


অতঃপর জিজ্ঞেস করা হলো, হে আল্লাহর রসূল! ঘোড়ার (মালিকের) কী অবস্থা হবে? তিনি (উত্তরে) বললেন, ঘোড়া তিন প্রকারের-

 (ক) যে ঘোড়া তার মালিকের জন্য গুনাহের কারণ হয়,

 (খ) যে ঘোড়া তার মালিকের পক্ষে আবরণ স্বরূপ এবং

 (গ) যে ঘোড়া মালিকের জন্য সাওয়াবের কারণ স্বরূপ। 


বস্তুতঃ সে ঘোড়াই তার মালিকের জন্য বোঝা বা গুনাহের কারণ হবে, যা সে লোক দেখানোর জন্য অহংকার প্রকাশের জন্য এবং মুসলিমদের বিরুদ্ধে শত্রুতা করার উদ্দেশে পোষে। আর যে ব্যক্তি তার ঘোড়াকে আল্লাহর রাস্তায় জিহাদের জন্য পোষে এবং এর পিঠে সওয়ার হওয়া এবং খাবার ও ঘাস দেয়ার ব্যাপারে আল্লাহর হাক্ব ভুলে না, এ ঘোড়া তার দোষ-ত্রুটি গোপন রাখার জন্য আবরণ হবে।


আর যে ব্যক্তি মুসলিমদের সাহায্যের জন্য আল্লাহর রাস্তায় ঘোড়া পোষে এবং কোন চারণভূমি বা ঘাসের বাগানে লালন পালন করতে দেয় তার এ ঘোড়া তার জন্য সাওয়াবের কারণ হবে। 

তার ঘোড়া চারণভূমি অথবা বাগানে যা কিছু খাবে তার সমপরিমাণ তার জন্য সাওয়াব লেখা হবে। এমনকি এর গোবর ও প্রস্রাবে সাওয়াব লেখা যাবে। আর যদি তা রশি ছিঁড়ে একটি বা দু'টি মাঠেও বিচরণ করে তাহলে তার পদচিহ্ন ও গোবরের সমপরিমাণ নেকী তার জন্য লেখা হবে।

এছাড়া মালিক যদি কোন নদীর তীরে নিয়ে যায়- আর সে নদী থেকে পানি পান করে অথচ তাকে পানি পান করানোর ইচ্ছা মালিকের ছিল না তথাপি পানির পরিমাণ তার 'আমালনামায় সাওয়াব লেখা হবে।


অতঃপর জিজ্ঞেস করা হলো, হে আল্লাহর রসূল! গাধা সম্পর্কে বলুন। তিনি বললেন, গাধা সম্পর্কে কোন আয়াত আমার কাছে অবতীর্ণ হয়নি।

তবে ব্যাপক অর্থবোধক এ আয়াতটি আমার উপর অবতীর্ণ হয়েছে,


যে ব্যক্তি অণু পরিমাণ একটি ভাল কাজ করবে সে তার শুভ প্রতিফল পাবে আর যে এক অণু পরিমাণ মন্দ কাজ করবে সে তার মন্দফল ভোগ করবে (অর্থাৎ আলোচ্য আয়াত দ্বারা বুঝা যায় যে, গাধার যাকাত দিলে তারও সাওয়াব পাওয়া যাবে।)

(সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ২১৮০)


**যাকাত দেওয়ার উপকারিতা**

সম্পদের জাকাত আদায় করা মহান আল্লাহ তায়ালার নির্দেশ। আল্লাহর সন্তুষ্টির অন্যতম মাধ্যম। পার্থিব কোন উপকারিতা থাকুক আর থাকুক, আআল্লাহর নির্দেশ পালনে মুমিন সর্বদা বাধ্য। তবে আল্লাহর কোন নির্দেশ-ই পার্থিব উপকারিতা মুক্ত নয়। তেমনি জাকাতের মাঝেও রয়েছে ধর্মীয় অনুশাসন পালনের পাশাপাশি পার্থিব অনেক উপকারিতা।

 আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআনে ইরশাদ করেছেন,

আল্লাহ তায়ালা সুদকে ধূলিস্যাৎ করে দেন আর দান-সদকা ও যাকাতের মধ্যে প্রবৃদ্ধি দান করেন। " ( সূরা বাকারা-৬৭২)  

  


আবু সায়ীদ রা. বর্ণনা করেন, 


একদা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদেরকে নসিহত করছিলেন। তিন বার শপথ করে তিনি বললেন, ‘যে ব্যক্তি পাঁচ ওয়াক্ত নামায পড়বে, রমযানের রোযা রাখবে, যাকাতপ্রদান করবে এবং সব ধরনের কবিরা গুনাহ থেকে বিরত থাকবে আল্লাহ তা‘আলা তার জন্য অবশ্যই বেহেশতের দরজা খুলে দিয়ে বলবেন, ‘তোমরা নিরাপদে তাতে প্রবেশ কর। (নাসায়ী: ২৩৯৫)    




  • যেসব সম্পত্তিতে যাকাত ওয়াজিব  বা পরিমান সমূহ
উটের যকাত
১থেকে ৪টি উটের জন্য কোন যাকাত নাই
৫থেকে ৯টি উটের জন্য১টি ছাগল
১০থেকে ১৪টি উটের জন্য২ টি ছাগল
১৫থেকে১৯টি উটের জন্য৩ টি ছাগল
২০থেকে২৪টি উটের জন্য৪ টি ছাগল
২৫থেকে ৩৫টি উটের জন্যএকটি বিনতে মাখায বা এক বছরের উটনী
৩৬থেকে ৪৫টি উটের জন্যএকটি বিনতে লাবুন দুই বছরের উটনী
৪৬থেকে ৬০টি উটের জন্যএকটি হিক্কাহ তিন বছরের উটনী
৬১থেকে৭৫টি উটের জন্যএকটি জাযাআ চার বছরের উটনী
৭৬থেকে ৯০টি উটের জন্য২বিনতে লাবুন
৯১থেকে ১২০টি উটের জন্য২হিক্কাহ
১২০টি উটের বেশী হলে প্রতি ৫০টি উটের জন্য একটি হিক্কাহ যাকাত দতে হবে।আর প্রতি৪০টিতে একটি বিনতে লাবুন যাকাত দিতে হবে।
                                                 গরুর যাকাত
             এক থেকে ২৯টি গরুর জন্য কোন যাকাত নেই
৩০থেকে৩৯টি গরুর জন্যএকটি তাবী বা তাবীয়া
৪০থেকে৫০টি গরুর জন্যএকটি মুসিন্ন বা মুসীন্না
ষাটের অধিক গরু হলে প্রতি ৩০টিতে একটি তাবীয়া। আর প্রতি ৪০টিতে একটি মুসীন্না যাকাত দিতে হবে
তাবী হলো পুন এক বছর বয়সের বাছুরতাবীয়া হলো পুন এক বছরের গাভী
মুসীন্ন হলো পুন দুই বছরের বাছুরমুসীন্না হলো পুন দুই বছরের গাভী

                                          ছাগলের যাকাত
           একটি থেকে ৩৯টি ছাগলের জন্য কোন যাকাত নেই
৪০ থেকে ১২০টি ছাগলের জন্যএকটি ছাগল
১২১ থেকে ২০০টি ছাগলের জন্যদুইটি ছাগল
২০১ থেকে ৩৯৯ছাগলের জন্যতিনটি ছাগল
ছাগলের সংখ্যা ৪০০টি বা তা অধিক হলে প্রতি ১০০টিতে ১ছাগল যাকাত দিতে হবে।
যে সব ছাগল দিয়ে যাকাত দেওয়া যাবেনা
পাঠাঁ/ বৃদ্ব বাচ্ছাকে দুধ দিচ্ছে এমন বকরী/গভবতী এবং পালের মধ্য সবচেয়ে মুল্যবান ছাগল/
বিদ্রঃযে ছাগল যাকাত হিসাবে দিবে তা ভেড়া হলে তার বয়স ৬মাস হতে হবে আর সাধরন ছাগল হলে তার বয়স ১বছর হতে হবে।
               যমিন থেকে উৎপাদিত সম্পদের যাকাত
যমিন থেকে উৎপন্ন শষ্যে ও ফলমুলে তিনটি শতে যাকাত ওয়াজিব হয়
যে সমুস্ত শস্য দানা ও ফল মুল ওজন ও গুদাম জাত করা যায় যেমন শস্য দানা হচ্ছে যব গম ইত্যাদি ফল মুলের মধ্য আঙ্গুর খেজুর ইত্যাদি
নেছাব পরিমান হওয়া ।শস্যের নেছাব হচ্ছে ৬৫৩ কেজি বা তার বেশী
যাকাত ওয়াজিব হওয়ার সময় ফসলের মালিক হওয়া।এবং উহা খাওয়ার উপযোগী হওয়া।শস্যের কেত্রে উপযোক্ত সময় হলো দানা শক্ত ও শুকনা হওয়া।আর ফল মুলের কেত্রে উযোক্ত সময় হলো হলুদ বা লাল রং ধারন করা।
শষ্যে ও ফলমুলের যাকাতের পরিানঃ-পানি সেচের পরিশ্রম ব্যতিত যেমন বৃষ্টি বা নদীর পানিতে ফসল উৎপন্ন হলে উসর (১০%)যাকাত দিতে হবে।কিন্তু কষ্ট বা পরিশ্রম করে কুপ টিউবওয়েল মেশিন দ্বারা পানি সেচের মাধ্যে ফসল উৎপন্ন হলে উশরর অধেক( ৫%)যাকাত দিতে হবে।আর যদি কিছু সময় সেচে আর কিছু সময় বিনা সেচে ফসল উৎপন্ন হয় ।তাহলে অধিকাংশের হিসেবে যাকাত দিতে হবে

                              মুল্যবান বস্তুর যাকাত
১স্বনস্বর্ন ৮৫ গ্রাম হলেস্বর্ন বা রৌপ্যের যাকাতের পরিমান হচ্ছে ৪০ভাগের এক ভাগ আড়াই শতাংশ ২,৫%
২রৌপ্যরৌপ্য ৫৯৫ গ্রাম হলে
৩নগদ অর্থনগদ অর্থ বা কাগজে মুদ্রা যদি যাকাত ফরয হওয়ার সময় স্বর্ন বা রৌপ্যের যে কোন একটির সব নিম্ন মুল্য পরিমান হয় তবে যাকাত দিতে হবে ২,৫%

                         ব্যবসায়িক পণ্যের যাকাত
           চারটি শর্ত পূর্ন হলে ব্যবসায়িক পণ্যের যাকাত দিতে হবে
পণ্যের মালিক হওয়া।
উহা দ্বারা ব্যবসার উদ্দেশ্য করা।
সম্পুর্ণ পণ্যের মূল্য যাকাতের নেছাবের পরিমান হওয়া ।
বছর পূন হওয়া
এই চারটি শর্ত পূর্ণ হলে পণ্যের মূল্য থেকে যাকাত বের করতে হবে। যদি তার নিকট স্বর্ণ রৌপ্য বা নগদ অর্থ থাকে তবে তা ব্যবসায়িক পণ্যের মূল্যের সাথে একত্রিত করে নেছাব পূণ করবে।

                             




🔴 আপনাদের  কোন প্রশ্ন থাকলে আমাদেরকে ফেসবুকে জানাতে পারে

লেখকঃ
হাফেজ মোঃ রসুল ইসলাম (নয়ন)
======================
দাওরায়ে হাদিশ, জয়পুরহাট সিদ্দীকিয়া (এম এ মডেল) কামিল মাদরাসা
পেশ ইমামঃ ঐতিহাসিক পাহাড়পুর জান্নাতুল মাওয়া জামে মসজিদ


















Post a Comment

Post a Comment (0)

Previous Post Next Post