অনলাইনে আয় বিষয়ক পূর্ণাঙ্গ বাংলা গাইড লাইন [পর্ব-০২]
আসসালামু-আলাইকুম ওরাহমাতুল্লাহি ওবারাকাতুহ। “ফ্রিলান্সার নয়ন” ব্লগটির পক্ষ থেকে অনলাইন আয় বিষয়ক পূর্ণাঙ্গ বাংলা গাইডলাইন এর ২য় পর্বে আমি নয়ন আবারও হাজির হয়েছি আপনাদের সামনে এবং সবাইকে জানাচ্ছি আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা।
আজ আমরা যেসব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সর্ম্পকে জানব!!!
- অনলাইন আয় কি?
- কিভাবে অনলাইন থেকে আয় করা যায়?
- অনলাইন থেকে আয় করার সঠিক উপায় কোনটি?
- কোনটা শিখলে আমার জন্য ভাল হবে?
- আর কিভাবে সফল হতে পারব?
১ম ধাপ ঃ
অনলাইনের সংজ্ঞা ঃ
যদিও আমরা বুঝি যে ইন্টারনেট থেকে আয় করা মানেই ইন্টারনেট থেকে প্রচুর টাকা উপার্জন করা। বাস্তবিক অর্থেই অনলাইন বা ইন্টারনেট থেকে আয় করাকেই অনলাইন আয় বলে। আর সেটা আপনি যে কোন পদ্ধতিতেই করেন নাই কেন, সেটাই হচ্ছে ইন্টারনেট থেকে আয় বা অনলাইন ইনকাম। চাইলে আপনি বিভিন্ন ভাবেই অনলাইন থেকে আয় করতে পারেন। তাহলে লিুন আমারা কিছু কমন বিষয় সর্ম্পকে জেনে আসি!!!
২য় ধাপ ঃ
যেভাবে অনলাইন থেকে ডলার আয় করবেন ঃ
বাস্তব জীবনের মত ইন্টারনেট বা অনলাইন থেকে দুই ভাবে আয় করা যায়। যথা-
১. চাকুরীর মাধ্যমে ও ২. ব্যবসার মাধ্যমে।
আপনার আবার আশ্চর্য হয়ে বলবেন যে এটা আবার কেমন কেমন কথা? ইন্টার নেটেও কি চাকুরী ও ব্যবসা করা যায়? আমি বলব হ্যাঁ অবশ্যই ঘরে বসে ইন্টারনেটেও চাকুরী ও ব্যবসা করা যায়। তাহলে চলুন সেই অভিনব পদ্ধতি গুলো জেনে নেই-
ইন্টারনেটে চাকুরী
আমরা ইন্টারনেটেও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের হয়ে চাকুরী করতে পারি। বাস্তব জীবনে যেমন আমরা ইন্টারভিউ দিয়ে চাকুরী পাই, ইন্টারনেট জগতেও ইন্টারভিউ এর মাধ্যমে চাকুরী পাওয়ার সুযোগ রয়েছে। এখন আপনাদের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে ইন্টাভিউর মাধ্যমে কিভাবে ইন্টারনেটে চাকুরী পাওয়া সম্ভব? হ্যাঁ ইন্টারভিউর মাধ্যমে ইন্টারনেটে চাকুরী পাওয়া অবশ্যই সম্ভব। বাংলার শত শত তরুণ-তরুণীরা পাচ্ছে। আপনার ও পাওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। কারণ বাস্তব জীবেনের মত অনলাইনেও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান রয়েছে যেখানেিআপনি চাকুরী করতে পারবেন। তবে তার আগে আমার একটি কথা। সেটি হলো-বাস্তবিক প্রতিষ্ঠান গুলোতে চাকুরী করতে গেলে যেমন প্রাতিষ্ঠানিক সার্টিফিকেট লাগে ঠিক তেমনি অনলাইনে কাজ করতে হলেও স্কীল বা দক্ষতা লাগে। আর এই সকল প্রতিষ্ঠানে নিজের দক্ষতার পরিচয় দিয়ে আপনিও চুক্তি ভিত্তিক কাজ করতে পারেন। তবে একটি মজার বিষয় হলো বাস্তবে এমনও অনেক প্রতিষ্ঠান আছে যারা সার্টিফিকেটের চেয়েও দক্ষতাকে বেশি প্রাধান্য দিয়ে থাকেন। তাই আমার পরামর্শ হলো অনলাইনে ইনকাম করার আগে যেকোন একটি কাজের উপর আপনাকে ভাল দক্ষতা অর্জন করতে হবে। আর এটিও ভাবা যাবে না যে কম্পিউটার আপনাকে কাজ দেবে। কোনো কোনো দেশের বায়ার বা ক্লায়েন্টকে আপনার খুঁজে বের করতে হবে যারা আপনাকে কাজ দেবে। এখন আপনাদের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে কোথায় পাবেন এই সকল প্রতিষ্ঠান? হ্যাঁ অবশ্যই এটাই কিন্তু প্রধান সমস্যা। কারণ ইন্টারনেট হলো এমন একটি জগত যার সাথে বিশ্বের প্রতিটি কোণা এর সাথে সর্ম্পকিত। আপনি ঘরে বসে তো আর তাদেরকে খুঁজে বের করতে পারবেন না। আর আপনার যেসব বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করছেন বা কাজ করবেন সেই বিষয়টি কিন্তু প্রতিষ্ঠান কে জানতে পারবে না। যে আপনার দক্ষতার উপর ভিত্তি করে আপনাকে কাজ দিবে। তাহলে এখন কি করবেন? যেহেতু এটি একটি অনলাইন প্লাটফর্ম এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ওর্য়াকার এখানে আছে তাই কর্মী ও চাকুরীদাতাদের পরিচয় হওয়াটা কিংবা খুঁজে পাওয়াটা অনেক কষ্টসাধ্য ব্যাপার। এজন্য তাদের মধ্যে একটি সহজ যোগসূত্র তৈরি করার জন্য গড়ে উঠেছে বিভিন্ন মার্কেটপ্লেস। যেখানে েএকই জায়গায় ওয়ার্কার ও চাকুরীদাতারা একে অপরের সাথে পরিচিত হয়। মার্কেটপ্লেস গুলো হলো-
১. ফ্রিলান্সার.ডটকম ২.গুরু.ডটকম ৩.ওডেস্ক.ডটকম ৪. ইলান্স.ডটকম যা বর্তমানে আপওয়ার্ক.ডটকম নামে পরিচিত। যেখানে বিভিন্ন চাকুরীদাতারা বা ক্লায়েন্টরা তাদের কোম্পানীর বিভিন্ন কাজের জন্য লোক আবশ্যক লিখে বিজ্ঞাপন দিয়ে থাকে এবং সেই বিজ্ঞাপন দেখে বিভিন্ন দেশের কর্মী বা ফ্রিলান্সররা কাজের জন্য আবেদন করে থাকে। পরবর্তীতে সেই বায়ার সেখান থেকে ইন্টারভিউর মাধ্যমে কাজটির উপযুক্ত ওর্য়াকার কে কাজটি দিয়ে দেয় এবং কাজ শেষে বায়ার চুক্তি অনুযায়ী পেমেন্ট করে থাকে। এই পেমেন্ট গুলো আপনি মার্কেটপ্লেস এ ব্যাংক একাউন্ট এড করে টান্সফার করে নিয়ে আসতে পারবেন। এই মার্কেটপ্লস গুলোকে বলা হয় ফ্রিলান্সিং মার্কেটপ্লেস আর এই ভাবে উর্পাজনকে আমরা সাধারণ ভাবে বলে থাকি ফ্রিলান্সং বা মুক্ত পেশা। এছাড়াও আপনি বিভিন্ন টিভি বা বিজ্ঞাপন এ দেখে থাকবেন যে-”ফ্রিলান্সিং করুন আয় করুন”। আর এটিকে মুক্ত পেশা বলার মুল কারণ হলো কাজের জন্য কোন বাধ্যবাধকতা নাই আপনি আপনার মত করে আয় করতে পারেবেন। কোন প্রজেক্ট শেষ করার পর চাইলে কাজ করতে পারেন না চাইলে নাও করতে পারেন। আশা করি আমরা কছিুটা হলেও বুঝতে পেরেছি অনলাইনে চাকুরী আসলে কি বা কিভাবে চাকুরী করতে হয়।
ধন্যবাদ বন্ধুরা, আজকের পর্বে এইটুকুই। আগামী পর্বে আমরা জানব এই মার্কেটপ্লেস গুলোতে কি ধরনের কাজ পাওয়া যায় ও আপনার উর্পাজিত অর্থ বা টাকা কিভাবে আপনি হাতে পারবে। বিস্তারিত জানতে আমাদের সাথেই থাকুন। দেখা হবে আগামী পর্বে। ধন্যবাদ সবাইকে।
Post a Comment