সূরায়ে ইয়াসিন শরীফের ফজিলত


সূরায়ে ইয়াসিন শরীফের ফজিলত
হযরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত তিনি বলেনআল্লাহর হাবিব এরশাদ করেছেনযে ব্যক্তি আল্লাহপাকের সন্তুষ্টি লাভ করার নিমিত্তে রাতে সূরায়ে ইয়াসিনশরীফ পাঠ করবে আল্লাহতায়ালা তার ঐ রাতের সমস্ত গোনাহ মাফ করে দিবেন। (মিশকাতশরীফ ১৮৯ পৃ.) (সুনানে দারেমীশরীফ ২য় জিল্দ ৪৫৭ পৃ.)
আতা বিন আবী রেবাহ থেকে বর্ণিত তিনি বলেন আমার নিকট হাদিসশরীফ পৌঁছেছেরাসূলেপাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেছেনযে ব্যক্তি সূরায়ে ইয়াসিন দিনের প্রথমভাগে তেলাওয়াত করবেতার সকল হাজত পূর্ণ হবে। (সুনানে দারেমীশরীফ ২য় জিল্দ ৪৫৭ পৃ.)

আরো  কিছু  পড়ুন 
তাফসিরে জালালাইনশরীফের হাশিয়া ৩৬৮ পৃষ্ঠার মধ্যে বায়জাভীশরীফের উদ্ধৃতি দিয়ে হযরত ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে একখানা হাদিসশরীফ নকল করা হয়েছে- ‘রাসূলেপাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেছেননিশ্চয় প্রত্যেক বস্তুর কলব’ রয়েছেএবং কোরআনশরীফের কলব হচ্ছে সূরায়ে ইয়াসিনশরীফ। যে ব্যক্তি আল্লাহতায়ালার সন্তুষ্টি লাভ করার উদ্দেশ্যে সূরায়ে ইয়াসিনশরীফ তেলাওয়াত করবেআল্লাহতায়ালা তাকে মাফ করে দিবেন এবং দশ মরতবা কোরআনশরীফ খতম করার সওয়াব দান করবেন। (যে খতমে ইয়াসিন পাঠ করা হয়নি)
কোন মুসলমান মৃত্যুশয্যায় শায়িত হলে তার নিকট যখন মালাকুল মউত উপস্থিত হনএমতাবস্থায় তার নিকট সূরায়ে ইয়াসিনশরীফ পাঠ করা হলে প্রত্যেক হরফের পরিবর্তে দশজন ফেরেশতা তার সামনে দলবদ্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দোয়া ও ইস্তেগফার করতে থাকেন এবং গোসল দেওয়ার সময় ফেরেশতাগণ তার নিকটে হাজির থাকেনতার যানাযার নামাযে অংশগ্রহণ করেনদাফনের সময়ও উপস্থিত থাকেন
যদি কোন মূসলমানের সকরাতুল মউতের সময় তার নিকট সূরায়ে ইয়াসিনশরীফ পাঠ করা হয়বেহেশত হতে রেদওয়ান ফেরেশতাবেহেশতের সুসংবাদ না দেওয়া পর্যন্ত মালাকুল মউত তার রূহ কবজ করবেন না। রূহ কবজের সঙ্গে সঙ্গে সে ব্যক্তি রাইয়ান’ নামক বেহেশতে থাকবে। (হাশিয়ায়ে জালালাইনশরীফ- ৩৬০ পৃ.)



সোশ্যাল মিডিয়াতে আমরা আছি আপনাদের পাশে

 ফেসবুকে আমাকে পেতে ক্লিক করুন                   



 নতুন পোষ্ট পেতে আমাদের পেইজ এ লাইক দিয়ে আমাদের সাথেই থাকুন 

আমার পোস্ট এ যদি আপনার সামান্য হলেও উপকার হয়ে থাকে তাহলে আমাদের কমেন্ট করে জানাবেন





Post a Comment

Post a Comment (0)

Previous Post Next Post